ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। এরইমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। শরণার্থী হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা শহরকে রুশ দখলমুক্ত করার জন্য লড়াই করছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার একাধিক গণমাধ্যম।
ইউক্রেনের একজন শান্তি আলোচকের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পুতিন ও জেলনস্কির সাক্ষাতের সম্ভাব্য স্থান হতে পারে তুরস্ক।
রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইউক্রেনের প্রতিনিধি ডেভিড অ্যারাখামিয়া বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান শুক্রবার পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, টেলিফোনালাপে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টরা পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে তুরস্কের ঠিক কোন শহরে এ সাক্ষাৎ হবে এবং এর সম্ভাব্য তারিখ জানাতে পারেননি অ্যারাখামিয়া।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে গত কয়েকদিন ধরে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। সেইসঙ্গে দুই পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজ নিজ দেশে অবস্থান করে ভার্চুয়ালি আলোচনায় যুক্ত হচ্ছেন। শনিবার উভয় পক্ষ আলোচনাকে ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছে।